Description
খেটেছেন লেখক। চম্বল অববাহিকায় প্রচুর শুলুক সন্ধান করেছেন। একটি পত্রিকার হয়ে স্টোরি করতে গিয়ে অসংখ্য জীবন্ত স্টোরির সামনা সামনি হয়ে কখনও বিভ্রান্ত হয়েছেন মিথ আর বাস্তব, খবর আর সত্যের ফারাক দেখে। রোমাঞ্চিত হয়েছেন, কষ্টে কেঁদেছেন। বেহড়ের কোলে রাত কাটিয়েছেন। পাশ দিয়ে চলে যেতে দেখেছেন অজগর! জ্যোৎস্না রাতে একা বেহড়ে শুনেছেন হাড় হিম করা শিসের অপার্থিব শব্দ! বেহড়ের টিলায় টিলায় মাটির খোঁদলে মাতাল হাওয়ার দামালপনা দেখেছেন। কখনো দাগীর মোটরবাইকে, কখনো ট্রেকারের মাথায়, কখনো জিপে সওয়ারি হয়েছেন অভিযাত্রী সাংবাদিক। রাইফেল হাতে গালপাট্টা সব ত্রাসের সামনাসামনি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। দস্যুসর্দারের মন্দিরে যেমন হাজির হয়েছেন, তেমনি মায়াময়ী দস্যুরানির অনন্য শরীরী আবেদনের সামনাসামনি হয়েছেন।— শাশ্বত কর (কবি ও সমালোচক)। আরও পড়ুন।
Press Reviews
যুগ যুগ ধরে চম্বলের ঊষর উপত্যকায় অনুরণিত হয়েছে ভয়ংকর সব ডাকাতিয়া কাহিনি। সেই সব কাহিনির অনেকটাই হাতে-কলমে পরখ করে বাঙালির সামনে হাজিরে করেছিলেন তরুণ কুমার ভাদুড়ি, তাঁর বিখ্যাত বইয়ে। বহু বছর পরে শুভেন্দু দেবনাথ যেন অনেকটা তরুণবাবুর পথরেখা অনুসরণ করেই ঘুরে বেড়িয়েছেন এই চম্বল উপত্যকায়। এই বই তারই ফসল।— এই সময়
বাঙালির কাছে ডাকাত বলতে ‘দেবী চৌধুরানী’, ‘বীরপুরুষ’ কিংবা ‘বাংলার ডাকাত’। পরবর্তী সময়ে তরুণ ভাদুড়ীর ‘অভিশপ্ত চম্বল’ কিংবা ‘বেহড় বাগী বন্দুক’ এর পরে ‘সোনার কেল্লা’-র ‘রাজস্থান মে ডাকু হ্যায় ইয়া নেহি হ্যায়?’ কিংবা রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’। তার পরে আর কিছু নেই। শুভেন্দুর ঝুলিতে গল্পের শেষ নেই। চম্বল ও সেখানকার ডাকাতদের নিয়ে তাঁর পাণ্ডিত্য দেখলে বিস্মিত হতে হয়। মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থান — এই তিন রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাই জুড়েছে চম্বলকে। রাজস্থান না গেলেও বাকি দুই রাজ্যে শুভেন্দু ঘুরে বেড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে নাগাড়ে পড়াশোনা। ইতিহাস ঘেঁটে দেখেছেন হিউয়েন সাং-কেও কী ভাবে ডাকাতদের পাল্লায় পড়তে হয়েছিল। সেই অভিশপ্ত চম্বলের কাহিনিই শুভেন্দু তুলে ধরেছেন তাঁর বই ‘আবার চম্বল’ বইতে। বইয়ের পাতায় পাতায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডাকাতের দল। শুভেন্দুর কলমে নতুন করে ‘হা রে রে রে’ করে তারা ঢুকে পড়তে চায় বাঙালি পাঠকের অন্দরে।— এবেলা
যাবতীয় ছিদ্রান্বেষণ ও সমালোচনার কেজো দৃষ্টিভঙ্গিকে সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েও একটি কথা স্বীকার না করে উপায় নেই। এমন ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা বই বাংলায় খুব বেশি রচিত হয়নি। শুভেন্দু এক ধুঁয়াধার সাংবাদিক এবং এখন গ্রন্থকার হিসেবে তার দায়িত্ব আরও অনেক বেড়ে গিয়েছে স্বচ্ছ সংবাদ পরিবেশনার পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যের মূলধারার প্রতিও।— অপরজন
রহস্যময় বেহড়ে বাগীদের জীবন— হত্যা, পুলিশের এনকাউন্টার, নারীসঙ্গ ইত্যাদি স্মৃতিকথা বা কল্পকাহিনি যাইহোক তা পাঠককে এক ধরনের বিনোদন দেয়। কিন্তু ‘আবার চম্বল’ সেই বিনোদন দিয়েই ফুরিয়ে যায় না। চম্বল এখন তুলনামূলক শান্ত, কিন্তু যে-কোনো সময় আগের মতোই অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। কারণ, দারিদ্র, জমি নিয়ে বিবাদ, বিড়ম্বনাময় ভূপ্রকৃতি। জমি যার নেই তার জীবন নরক। উন্নয়ন বলতে কোথাও কোথাও পাকা রাস্তা, নেই স্কুল, নেই শুদ্ধ পানীয় জল। চাষের জমি কিনে নিয়েছে বড়ো বড়ো কর্পোরেট সংস্থা, সেখানে শহরের বড়োলোকদের জন্য তৈরি হচ্ছে ফার্ম হাউস না নামীদামি স্কুল। দুর্নীতিপরায়ণ পুলিশ প্রশাসনের বদান্যতায় আইন-বিচার ব্যবস্থা ভূলুণ্ঠিত। যে-কোনো মুহূর্তে আবার দলে দলে বন্দুক হাতে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে যুবসমাজ, জেগে উঠতে পারে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি— তারই আভাস যেন পাওয়া গেল। —পরিচয় (অধ্যাপক সুকান্তি দত্ত)
Reviews
There are no reviews yet.